‘জলাতঙ্ক: মৃত্যু আর নয়, সবার সঙ্গে সমন্বয়’ প্রতিপাদ্যে আজ বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন অফিস কর্তৃক র্যালি ও আলোচনা সভার মাধ্যমে গোপালগঞ্জ জেলায় বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়।যেখানে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা.নিয়াজ মোহাম্মদ। বিশেষ আলোচক হিসেবে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা.সাদ মাহামুদ জয় এবং ডা.দিবাকর বিশ্বাস।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডা.সজীব সরকার(ডিএসএমও),দীপক রঞ্জন সরকার(জেলা ইপিআই সুপার.) ও অন্যান্য কর্মকর্তা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন অফিস এর পরিসংখ্যানবিদ মো মনিরুজ্জামান নয়ন।
আলোচ্য বিষয়ে জানা যায় যে,
জলাতঙ্ক একটি মরণব্যাধি, যা প্রাণি থেকে মানুষে ও প্রাণিতে সংক্রমিত হতে পারে। কুকুর, বিড়াল, বানর, বাদুড়,বেজী ও শিয়ালের কামড় বা আঁচড়ে এ রোগ সংক্রমিত হয়।
বর্তমানে বিশ্বে বছরে ৫৯ হাজার মানুষ এ রোগে মারা যায়। বিখ্যাত ফরাসি অণুজীববিদ লুই পাস্তুর ১৮৮৫ সালে সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেছিলেন জলাতঙ্কের টিকা, যার মাধ্যমে রোগটি শতভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
এ অসামান্য অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে গ্লোবাল এলায়েন্স ফর র্যাবিস কন্ট্রোল নামক সংস্থা কর্তৃক তার মৃত্যু দিবস ২৮ সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এ রোগের ভয়াবহতা উপলব্ধি, জনসচেতনতা বাড়ানো ও প্রতিরোধ এবং নির্মূলের লক্ষ্যে ২০০৭ সাল থেকে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। পৃথিবীর ১২টি দেশের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশে ২০০৭ সালে প্রথম বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়ে আসছে।
বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২২ এর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জলাতঙ্ক: মৃত্যু আর নয়, সবার সঙ্গে সমন্বয়’। বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবসকে সামনে রেখে সরকার, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এ কর্মসূচির আওতায় জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও দেশজুড়ে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন পর্যায়ে সেমিনার, মুক্ত আলোচনা, জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।আসুন সবাই সচেতন হই,জলাতঙ্ক মুক্ত থাকি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস